শিরোপা জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে আইসিসি আয়োজিত পরবর্তী মেগা ইভেন্টে অংশ নিতে পারছে না চ্যাম্পিয়নরা।
২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না তারা। র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকায় তারা সুযোগ হারায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার। তবে বাংলাদেশ এই মেগা ইভেন্টে খেলতে পারবে। ২০১৭ সালের ১ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ক্রিকেটের জন্মভূমি ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। বিশ্বকাপের পর এটি আইসিসি আয়োজিত দ্বিতীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্টে আইসিসির ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের সেরা আট দল অংশগ্রহণ করে। র্যাংকিং অনুযায়ী টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের এই মেগা ইভেন্টে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে আইসিসি। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে সেরা আটের বাইরে থাকায় তারা সুযোগ হারায় চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে ৯৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল সাতে। ফলে ২০০৬ সালের পর আবারও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হোম সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে পাকিস্তানকে টপকে র্যাংকিংয়ে আটে উঠে আসে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সাতে উঠে আসে বাংলাদেশ। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম আসরের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৮ সালে আইসিসি নকআউট ট্রফি নামে প্রথমবারের মত এ টুর্নামেন্ট চালু করে আইসিসি। দক্ষিণ আফ্রিকা সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০০০ সালে এর আয়োজক ছিল কেনিয়া। দুই বছর পর টুর্নামেন্টের নাম পাল্টে নামকরণ করা হয় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অবশ্য বাংলাদেশের রেকর্ড তলানিতে। আট ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র এক ম্যাচে। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতেছিল লাল-সবুজ জার্সীধারীরা। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কার কাছে একবার করে হেরেছে বাংলাদেশে। ওয়েষ্ট ইন্ডিজের সঙ্গে দুবারের মুখোমুখিতে দুবারই হেরেছে টাইগাররা। এবার অবশ্য সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেই। দেখা যাক বাংলাদেশ এবার কেমন কী করতে পারে।
0 Reviews:
Post Your Review