এইচ আই ভি ভাইরাসের লক্ষণ
AIDS এর নিজস্ব কোন লক্ষণ নেই। এটি শুধুমাত্র শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে দূর্বল করে বসে থাকে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি এই জীবানুপূর্ণ পৃথিবীতে সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে পরে। এই সময়ে সমস্ত সাধারণ জীবানু দ্বারাও সে আক্রান্ত ও কাবু হয়ে পরে, অথচ সাধারণ অবস্থায় যেসব জীবানুর সঙ্গে যুদ্ধ করা তার জন্য কোন ব্যপার ই ছিলোনা। এই ধরণের জীবানুর আক্রমন কে বলা হয় opportunistic infections বা সুযোগ-সন্ধানী আক্রমন (যেহেতু রোগীর রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল, এই সুযোগে সে আক্রমন করেছে)। opportunistic infections এর কারণে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, তা হলো-
০১. ঠান্ডা লাগা
০২. সপ্তাহব্যপী ১০০ ডিগ্রী এর উপরে জ্বর থাকা
০৩. রাতের বেলা ঘাম হওয়া
০৪. লিম্ফ গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া
০৫. ওজন কমতে থাকা
০৬. মাংস পেষীতে ব্যথা
০৭. জয়েন্ট এ ব্যথা
০৮. সার্বক্ষনিক দূর্বলতা বোধ করা
০৯. ক্রমাগত ডায়রিয়া থাকা
১০. মুখে ও জীহবায় সাদা ঘা থাকা
০১. ঠান্ডা লাগা
০২. সপ্তাহব্যপী ১০০ ডিগ্রী এর উপরে জ্বর থাকা
০৩. রাতের বেলা ঘাম হওয়া
০৪. লিম্ফ গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া
০৫. ওজন কমতে থাকা
০৬. মাংস পেষীতে ব্যথা
০৭. জয়েন্ট এ ব্যথা
০৮. সার্বক্ষনিক দূর্বলতা বোধ করা
০৯. ক্রমাগত ডায়রিয়া থাকা
১০. মুখে ও জীহবায় সাদা ঘা থাকা
আস্তে আস্তে আরো ভয়াবহ রোগ ও তার শরীরে বাসা বাধতে থাকে যেমন- মেনিঞ্জাইটিস, যক্ষা, ক্যানসার, নিওমোনিয়া, সাইটোমেগালো ও হার্পিস ভাইরাসের আক্রমন ইত্যাদি।তাই সবারি AIDS পরীক্ষার করা উচিত নিচে পরীক্ষার পদ্দতি দেয়া হলঃ-
এইচ আই ভি প্রতিরোধে আমাদের করণীয়
উন্নত বিশ্বের মানুষেরা যে অনেক ক্ষেত্রেই বেশ উন্নতি অর্জন করেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে পারিবারিক বন্ধন উপেক্ষা করে দৈহিক-তৃপ্তিলাভের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়ায় এবং বাঁকা পথ অবলম্বন করার কারণে তারা মরণব্যাধি ‘এইডস্’ এর কবলে পড়ে দিশেহারা প্রায়। বর্তমানে এটি উন্নত, অনুন্নত সব দেশেই কম-বেশী ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দেশটিও এ তালিকা থেকে বাদ পড়েনি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই যে এই রোগটি মহামারির আকার ধারণ করে একটি দেশ বা জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে সে সম্পর্কে চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ আশংকা প্রকাশ করেছেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে নেই। এর হাত থেকে মুক্তি পাবার লক্ষ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিরন্তর গবেষণা চলছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায় বিশ্ব মানচিত্রের যে সমস্ত অঞ্চলের মানুষেরা ফ্রি-সেক্স অর্থাৎ বন্ধনহীন অবাধ যৌন জীবনে যত বেশী অভ্যস্ত, সে সমস্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে এই ভাইরাসের প্রবাহও তত বেশী। ভবিষ্যতে এই (HIV) ভাইরাসকে সম্পূর্ন নির্মূল করার মত আরও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা আবিষকৃত হোক সে কামনা সবারই।
‘এইডস্’ এর মূল কারণ এইএইচ আই ভি নামক ভাইরাসটিকে সম্পূর্নরূপে নির্মূল করার মত কোন ওষুধ এখনও আবিষকৃত হয়নি। তবে অগত্যা এ থেকে বাঁচার বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করা সম্ভব হয়েছে। নিম্নে তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হল-
‘সেফার-সেক্স’ অর্থাৎ যৌন মিলনের সময় কন্ডম ব্যবহারের মাধ্যমে যান্ত্রিক বাধা সৃষ্টি করে ভাইরাসকে আটকানোর বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। রক্ত-সংস্পর্শের মাধ্যমে এইডস্ ছাড়াও হেপাটাইটিস-বি ও সি এবং আরও অনেক জানা অজানা প্রাণঘাতি রোগ সংক্রমিত হয় এবং মহামারির আকার ধারণ করতে পারে। কিছু খেলে তা পাকস্থলিতে গিয়ে পরিপাক হয়। অতঃপর এর সারাংশ রক্তের মাধ্যমে শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে পরে। কিন্তু যখন কোন কিছু মাংসে বা ধমনীতে বা শিরায় প্রবেশ করানো হয় তখন তা সরাসরি রক্তের মাধ্যমে মুখে খাওয়ার তুলনায় দ্রুত ও সহজেই শরীরের সর্বত্র পরিচালিত হয়। এভাবে রক্তের মাধ্যমে জানা ও অজানা বিভিন্ন রোগের জীবাণু একজনের দেহ থেকে খুব সহজেই অন্যের দেহে প্রবেশ করতে পারে। রক্ত সংস্পর্শের ব্যপারে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য এখন চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডিস্পোসিবল্-সিরিঞ্জ ব্যবহৃত হচ্ছে। একজনের ব্যবহৃত ছুঁচ (Needle) যেন অন্যের দেহের সংস্পর্শে না আসে সেজন্য সেমিনার, ব্যানার, পোষ্টার ও লেখালেখির মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। উন্নত ও ধনী দেশগুলোতে ব্লাড-ট্রান্সফিউশনের সময় রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষার ও ডিস্পোসেবেল সিরিঞ্জ ব্যবহারের পর্যাপ্ত সুযোগ থাকায় এ পথে সংক্রমণের বিষয়টি অনেকাংশে কমানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহে পরীক্ষা পদ্ধতি ব্যয়বহুল তথা অপর্যাপ্ত হওয়ায় এ পথে সংক্রমণের বিষয়টি এখনও অনেকটাই ঝুকিপূর্ণ রয়ে গেছে। সুতরাং পরীক্ষা পদ্ধতি সহজলভ্য ও ডিস্পোসেবেল সিরিঞ্জ পর্যাপ্তভাবে সরবরাহ করার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য-সংস্থা সহ প্রতিটি দেশের সরকার তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে অগ্রণী ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। সেইসাথে স্বাস্থ্য-সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগুলোর সঠিক প্রয়োগ ও ব্যবহারের বিষয়টিকে সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসক সহ সকল স্বাস্থ-সেবা কর্মীদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
মনুষকে মহান আল্লাহতায়ালা সুন্দর ভাবে সৃষ্টি করেছেন। তাই গুরুতর অসুস্থ ও দুর্বল কোন রোগীর জীবন রক্ষার্থে যদি কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেই রোগীর শরীরে রক্ত সরবরাহ অর্থাৎ ব্লাড-ট্রান্সফিউশন করা অত্যন্ত জরুরী বলে পরামর্শ দেন, তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই চেনা-জানা, সুস্থ-সবল ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে যথাসম্ভব পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহ করতে হবে।
এইচ আই ভি থেকে রক্ষা পেতে ঝুকি মুক্ত রক্ত এখান থেকে সরবরাহ করতে পারেন। লিংক BloodDonors24.com
0 Reviews:
Post Your Review