সোমবার সকাল ১০টায় এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
আর মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবীদ এবং এসএসসি ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) (সৃজনশীল) ও বাংলা-২ (৮১২১) (সৃজনশীল) ও দাখিল ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৭২১) (সৃজনশীল) বিষয়ের পরীক্ষায় বসেছে শিক্ষার্থীরা।
এবার প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) এবং পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হচ্ছে। এ দুই অংশের মধ্যে থাকছে ১০ মিনিটের বিরতি।
এতোদিন তত্ত্বীয় শেষে এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হলেও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার প্রমাণ মেলায় আগে এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২৮ হাজার ১১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দিচ্ছে এবার। তাদের মধ্যে আট লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র; আর আট লাখ আট হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী।
গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন অংশ নিয়েছিল। সেই হিসেবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন।
আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৩ লাখ চার হাজার ২৭৪ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৮৬৫ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে ৯৮ হাজার ৩৮৪ জন পরীক্ষা দিচ্ছে এবার।
বিদেশের আটটি কেন্দ্রে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে ৪০৪ জন শিক্ষার্থী।
পরীক্ষার্থীদের পথের দুর্ভোগ এড়াতে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক বসছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষা শুরুর আগে রাস্তায় বের হবেন না।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, এবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ের পরীক্ষা হবে সৃজনশীল প্রশ্নে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এ ধরনের প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
এছাড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রালপালস আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট বাড়তি সময় এবং পরীক্ষা কক্ষে অভিভাবক, শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
আগামী ৮ মার্চ এসএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ৯ থেকে ১৪ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী
0 Reviews:
Post Your Review