আবুল কাশেম হৃদয়, কুমিল্লা।।
কুমিল্লায় পুলিশের গাড়িতে ডাকাতির চেষ্টাকালে পুলিশের সাথে গোলাগুলিতে কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী জিরা সুমন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূইয়াসহ ৫পুলিশ সদস্য। বুধবার রাত পৌণে ২টায় কুমিল্লার পালপাড়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি রিভলবার, ৩টি দেশীয় এলজি, ৬ রাউন্ড গুলিসহ ১টি চাকু, ১টি লোহার রড ও ডাকাতদের ব্যবহৃত ৫টি মুখোশ উদ্ধার করেছে। বুধবার বেলা ১২টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস বিফ্রিংকালে পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত পৌণে ২টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর)আলী আশরাফ ভূঞা এর নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান শেষে মাইক্রোবাসযোগে ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লায় ফিরছিল।
কুমিল্লার পালপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড দেখতে পেয়ে পুলিশ মাইক্রোবাস থামালে ডাকাতদল গাড়ির সামনে এসে দরজা খোলার চেষ্টা করে এবং গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে।
এসময় গাড়িতে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ডাকাতদলের উপর পাল্টা গুলি ছুড়ে।
এসময় পুলিশের সাথে ডাকাতদলের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জিরা সুমন ও তার এক সহযোগি জামাল হোসেন ডাকাতসহ মোট ৫জনকে আটক করে পুলিশ।
সংঘর্ষের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর)আলী আশরাফ ভূঞাসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা হলো- এসআই শ্যামল চক্রবর্তী, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর, আবদুর রহিম ও আবদুর রব। আহত সকল পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ ২ ডাকাতকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষনা করে। পরে মৃত বক্তির পরিচয় অনুসন্ধান করে পুলিশ জানতে পারে নিহত ব্যক্তি ডাকাত জিরা সুমন নামে পরিচিত। সে কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী।
আটককৃত ডাকাতরা হলো- দেবিদ্বার থানার বানিয়াপাড়া গ্রামের মো: জাকির (৩০), একই থানার বড় আলমপুর গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে স্বপন(২২) ও কোতয়ালী মডেল থানার রঘুপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো: সহিদুল ইসলাম।
এই ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূইয়া জানান, আহত জিরা সুমনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত জিরা সুমন কুমিল্লা শহরের অশোকতলা এলাকার শাহজাহান সাজুর ছেলে। তার পুরো নাম মোহাম্মদ সুমন। সে ভারত থেকে পাচার করা জিরা মসলা ছিনতাই করতো বলে তার নাম হয় জিরা সুমন। অপর গুলি বিদ্ধ জামাল হোসেনের বাড়ির কুমিল্লার মুরাদনগরের ফুলঘরে। তার পিতার নাম সিদ্দিকুর রহমান।
কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গত বছরের ৬ নভেম্বর দুপুরে কুমিল্লার ঝাউতলায় ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে ছিনতাইয়ের জন্য উৎপেঁতে থাকা মোহাম্মদ সুমন ওরফে জিরা সুমনকে ধরতে গেলে জিরা সুমন ও তার সহযোগিরা কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ফিরোজ হোসেন গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। সেই সাথে এসআই ফিরোজের পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে জিরা সুমনকে ধরতে গেলে গত ৯ নভেম্বর কুমিল্লার সদর উপজেলার আলেখার চর এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের আরেক কথিত বন্দুকযুদ্ধে জিরা সুমনের সহযোগী রাব্বী ও জনি নিহত হন।
নিহত জিরা সুমনের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতি, পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি রিভলবার, ৩টি দেশীয় এলজি, ৬ রাউন্ড গুলিসহ ১টি চাকু, ১টি লোহার রড ও ডাকাতদের ব্যবহৃত ৫টি মুখোশ উদ্ধার করেছে। বুধবার বেলা ১২টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস বিফ্রিংকালে পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত পৌণে ২টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর)আলী আশরাফ ভূঞা এর নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান শেষে মাইক্রোবাসযোগে ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লায় ফিরছিল।
কুমিল্লার পালপাড়া ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড দেখতে পেয়ে পুলিশ মাইক্রোবাস থামালে ডাকাতদল গাড়ির সামনে এসে দরজা খোলার চেষ্টা করে এবং গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে।
এসময় গাড়িতে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ডাকাতদলের উপর পাল্টা গুলি ছুড়ে।
এসময় পুলিশের সাথে ডাকাতদলের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জিরা সুমন ও তার এক সহযোগি জামাল হোসেন ডাকাতসহ মোট ৫জনকে আটক করে পুলিশ।
সংঘর্ষের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর)আলী আশরাফ ভূঞাসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা হলো- এসআই শ্যামল চক্রবর্তী, কনস্টেবল জাহাঙ্গীর, আবদুর রহিম ও আবদুর রব। আহত সকল পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ ২ ডাকাতকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষনা করে। পরে মৃত বক্তির পরিচয় অনুসন্ধান করে পুলিশ জানতে পারে নিহত ব্যক্তি ডাকাত জিরা সুমন নামে পরিচিত। সে কুমিল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী।
আটককৃত ডাকাতরা হলো- দেবিদ্বার থানার বানিয়াপাড়া গ্রামের মো: জাকির (৩০), একই থানার বড় আলমপুর গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে স্বপন(২২) ও কোতয়ালী মডেল থানার রঘুপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মো: সহিদুল ইসলাম।
এই ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূইয়া জানান, আহত জিরা সুমনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত জিরা সুমন কুমিল্লা শহরের অশোকতলা এলাকার শাহজাহান সাজুর ছেলে। তার পুরো নাম মোহাম্মদ সুমন। সে ভারত থেকে পাচার করা জিরা মসলা ছিনতাই করতো বলে তার নাম হয় জিরা সুমন। অপর গুলি বিদ্ধ জামাল হোসেনের বাড়ির কুমিল্লার মুরাদনগরের ফুলঘরে। তার পিতার নাম সিদ্দিকুর রহমান।
কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গত বছরের ৬ নভেম্বর দুপুরে কুমিল্লার ঝাউতলায় ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে ছিনতাইয়ের জন্য উৎপেঁতে থাকা মোহাম্মদ সুমন ওরফে জিরা সুমনকে ধরতে গেলে জিরা সুমন ও তার সহযোগিরা কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ফিরোজ হোসেন গুলি করে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। সেই সাথে এসআই ফিরোজের পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে জিরা সুমনকে ধরতে গেলে গত ৯ নভেম্বর কুমিল্লার সদর উপজেলার আলেখার চর এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের আরেক কথিত বন্দুকযুদ্ধে জিরা সুমনের সহযোগী রাব্বী ও জনি নিহত হন।
নিহত জিরা সুমনের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতি, পুলিশের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে
0 Reviews:
Post Your Review