টঙ্গী-ভৈরববাজার ডাবল রেললাইন উদ্বোধন আজ আজাদী প্রতিবেদন - NEW WITH ALWAYES DAILY PROYJON24
SUBTOTAL :
জাতীয়
টঙ্গী-ভৈরববাজার ডাবল রেললাইন উদ্বোধন আজ আজাদী প্রতিবেদন

টঙ্গী-ভৈরববাজার ডাবল রেললাইন উদ্বোধন আজ আজাদী প্রতিবেদন

জাতীয়
Short Description:

Product Description

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের টঙ্গী-ভৈরববাজার ৬৪ কিলোমিটার ডাবল রেল লাইন আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডাবললাইন চালু হলে রেলের গতি বাড়বে। দুই হাজার ১১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টঙ্গী-ভৈরববাজার ৬৪ কিলোমিটার ডাবল লাইনে পরীক্ষামূলক যাত্রা সম্পন্ন হয়েছে চলতি বছরের প্রথম মাসে। আজ প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ডাবল রেল লাইনের সুফল পাবেন যাত্রীরা। এতে ঢাকা-চট্টগ্রামঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-ভৈরব-ময়মনসিংহের তিনটি রুটের করিডোরে লাইনের সক্ষমতাও বাড়বে। ফলে ছয়ঘন্টার বদলে চার থেকে সাড়ে চারঘণ্টার মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম পৌঁছানো সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেনআজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাবললাইনে ট্রেন চলাচেলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া সেকশানের পুনর্বাসন এবং কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত নতুন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করার কথা রয়েছে। টঙ্গী-ভৈরববাজার ডাবললাইন চালুর ফলে পূর্বাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন রেলের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা। এতে করে কেবল যাত্রীবাহী নয়কন্টেইনার ট্রেনগুলোও এখন দিনে দিনে ঢাকা পৌঁছবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মকবুল আহম্মদ আজাদীকে জানানঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের পুরোটাই ডাবল লাইন করা হবে। আরো দুটি প্রকল্পের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে রানিং টাইম (গন্তব্যে পৌঁছার সময়আরো কমে আসবে। রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে২০১১ সালে কাজ শুরু হওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। তবে গত বছরের শেষদিকে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এরপর নতুন ট্র্যাকে ৩১টি মালবাহী ট্রেন ও তিনটি যাত্রীবাহী ট্রেন ট্রায়াল রান হিসাবে চালানো হয়। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর গভর্মেন্ট ইন্সপেক্টর অব বাংলাদেশ রেলওয়ের (জিআইবিআরপ্রতিনিধি দল প্রকল্পটি সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছেসিগন্যালিং সহ টঙ্গী থেকে ভৈরব পর্যন্ত ৬৪ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০১১ সালের ২১ জুন। প্রকল্পের মোট ব্যয় দুই হাজার ৩৬৭ কোটি টাকার মধ্যে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের এক হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার ৬২০ কোটি টাকা ব্যয় করে। রেলের মেগা এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১১ সালের ২৭ জুলাই চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
প্রকল্পের অধীনে ১১টি নতুন স্টেশন বিল্ডিং ও দুইটি সিগন্যালিং ইকুইপমেন্ট ভবন৭১টি ব্রিজ-কালভার্ট১৩টি স্টেশন২৩টি প্ল্যাটফর্ম১১টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থা আধুনিকায়নপাঁচটি লেভেল ক্রসিং এবং ১১টি পুরাতন লেভেল ক্রসিংয়ের উন্নয়ন করা হয়।
চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১১ সালের ২ নভেম্বর। ২০১৪ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পটির নির্মাণ কাজের ধীরগতিতে বাস্তবায়ন সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। প্রকল্পের মূল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চীনের সিআরএসসি। এ ছাড়া সাব-কন্ট্রাক্টর হিসাবে কোরিয়ার এলএসআইএস এবং দেশি সংস্থা ম্যাক্স ও তমা কনসোর্টিয়াম যৌথভাবে কাজ করে।
- See more at: http://www.dainikazadi.org/details2.php?news_id=2789&table=february2016&date=2016-02-25&page_id=1&view=0&instant_status=0#sthash.iM2kYlvm.dpuf

0 Reviews:

Post Your Review