ঘণ্টা ঘুমাবেন –তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। তবে ধারণা করা হয়, একজন মানুষের জন্য রাতে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট। বেশি ঘুমালে সেটা শারীরিক অক্ষমতা বলে ধরে নেয়া হয়।
রাতে বেশি ঘুমালে একজন মানুষের বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়ে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ৭-৯ ঘণ্টা কিংবা তার চেয়েও বেশি ঘুমানো ব্যক্তিকে অফিস সহকারী করা উচিত নয়। কারণ তাদের মধ্যে বিষণ্নতায় ভোগার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া যারা দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমান, তাদের সন্তান ধারণে সমস্যা না হলেও এর চেয়ে ঘণ্টা দুয়েক বেশি ঘুমালেই এর উল্টোটা ঘটে। অর্থাৎ সন্তান ধারণে সমস্যা দেখা দেয়।
অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের জন্য ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে। এর চেয়ে কম ঘুমালেই মিলবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থেকে মুক্তি।
যারা ৯-১০ ঘণ্টা ঘুমান তাঁরা ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। বেছে বেছে খাবার খেয়ে এবং ব্যায়াম করেও তাদের স্থূলতা রোধ করা যায় না।
আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের সঙ্গে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের সম্পর্ক রয়েছে। ফলে কেউ রাতে ৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ঘুমালে তাঁর ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া যারা কম ঘুমায় তাদেরও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
0 Reviews:
Post Your Review