প্রতিবেদক : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির বাজারের শুভ ইলেকট্রিকের দোকানের মালিক বেলায়েত হোসেন ডলার ব্যবসা করে অল্প দিনে কয়েক
কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। এ ব্যবসা দীর্ঘ ১০ বছর ধরে করে কামিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। করেছেন সরকারি জায়গা দখল করে ভবন নির্মান, নামে বেনামে বিপুল সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। তার চলাফেরাও অভিজাত হয়েছে। স্থানীয় এলাকা বাসীদের মধ্যে গুঞ্জন শুনা যায় বেলায়েত হোসেন জিরো থেকে হঠাৎ কীভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে উপজেলা কালুয়াই গ্রামের মন্টু মিয়া স্বাক্ষরীত লিখিত অভিযোগ অর্থ মন্ত্রনালয় ও দূর্নীতি দমন কমিশনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের হতদরিদ্র এছাক মিয়া ছেলে বেলায়েত হোসেন ছোট বেলা থেকে টিউশনি করে পড়ালেখার খরচ জোগাতো। হঠাৎ তার সাথে পরিচয় হয় আন্তর্জাতিক চোরাচালানী এক চক্রের সাথে। বিগত ১০ বছর পূর্বে সোনাইমুড়ি বাজারে এক্সিম ব্যাংক সংলগ্ন শুভ ইলেকট্রিক দোকান দেয়। এ দোকানের আড়ালে শুরু করে চোরাচালানীর বিভিন্ন ব্যবসা। এ ব্যবসায় করার সময় বিভিন্ন আইন শ্ঙ্খৃলা বাহিনীর সদস্যের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। চোরাচালানী ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে শুরু করে ডলার ব্যবসা। ডলার ব্যবসা করে রাতারাতি আঙ্গুল পুলে কলা গাছ বনে যায়। যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ হাতে পায়। থানা পুলিশের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের ম্যানেজ করে এ ব্যবসা চালিয়ে যায় নির্বিগ্নে। ডলার ব্যবসা করে বিভিন্ন অপরাধীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সরকারী জায়গা দখল করে সোনাইমুড়ি বাজারে পৌরসভা সংলগ্ন ঢাকা-নোয়াখালী মহাসড়কের পাশে নির্মান করেছেন বহুতল ভবন। নামে বেনামে কিনেছেন বিপুল সম্পত্তি। অভিযোগে আরো জানা যায়, বেলায়েত হোসেনের শুধু ডলার ব্যবসা নয়, জাল টাকা তৈরীর সিন্ডিকেটের সাথে রয়েছে তার গোপন যোগাযোগ। তার লোকজন ইতিপূর্বে কয়েকবার জাল টাকা নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আটক হলে সে জামিনে ছাড়িয়ে আনেন। বেলায়েত হোসেন ইতিপূর্বে সোনাইমুড়ি বাজারে মদিনা প্লাজার ৪তলায় বিউটি পার্লার ব্যবসা দেন। গ্রামগঞ্জে থেকে উঠতি বয়সের হতদরিদ্র মেয়েদের বিউটি পার্লারে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এনে অনৈতিক কাজ করে। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে উপজেলার কালুয়াই গ্রামের মন্টু মিয়া অর্থ মন্ত্রনালয় ও দূর্নীতি দমন কমিশনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত অভিযোগ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিয়া মোহাম্মদ কিয়াম উদ্দিনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নিদের্শ দেন। এ বিষয়ে বেলায়েত হোসেনের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ডলার ব্যবসা করি, সরকারি জায়গায় ভবন করেছি বীরদর্পে কথাগুলো জানিয়ে দিয়ে সাংবাদিককে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যত পারেন তত লেখেন। পুলিশ ভাইয়েরা আমার পাশে আছে। আমার কাছ থেকে প্রতি মাসে বখরা নেয় আমাকে সেইভ করতে। সোনাইমুিড় পৌর তহশিলদার মো: ফারুক হোসেন জানান, সোনাইমুড়ি বাজারে সরকারি অসংখ্য জায়গা রয়েছে। ভূমি মন্ত্রনালয় নির্দেশ শর্তেও তাহা উৎচ্ছেদ করা হচ্ছে না স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণে। সরকারি জায়গায় বেলায়েত হোসেনের ভবনের কিছু অংশ পড়েছে।
0 Reviews:
Post Your Review