Android Root সম্পর্কে মেগা টিউন। না দেখলে বিশাল মিস। - NEW WITH ALWAYES DAILY PROYJON24
SUBTOTAL :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
Android Root সম্পর্কে মেগা টিউন। না দেখলে বিশাল মিস।

Android Root সম্পর্কে মেগা টিউন। না দেখলে বিশাল মিস।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
Short Description:

Product Description


রুট (ROOT), অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা প্রায়ই শুনে

থাকবেন এই শব্দটি । বিভিন্ন সাইটে এই বিষয়টি নিয়ে
অনেক ধরনের ধারনা রয়েছে । তবে আজকে আমার
প্রাথমিক ধারনা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা
করছি । অনেক অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারীরাই
রুট কী এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানেন না । অনেকে মনে
করেন রুট করার মাধ্যমে ডিভাইসের পরিপূর্ণ
পারফরম্যান্স পাওয়া সম্ভব, আর তাই অনেকেই রুট করতে
আগ্রহী হয়ে পড়েন । কিন্তু রুট করার পর দেখা যায়
তাদের ডিভাইসের পারফরম্যান্স আগের মতোই রয়ে যায়
বা আগের চেয়ে খারাপ হয়ে পরে । তারা হতাশ হয়ে
পড়েন এ অবস্থা দেখে । কিন্তু তাদের মাঝে অজানাই
থেকে যায় যে রুট করার আসল সার্থকতা কোথায় ।
আজকের আমি আমার এই লেখার মাধ্যমে আপনাদের
সামনে রুট করার কারন , কেন করবেন , রুট করার
উপকারিতা এবং অপকারিতা তুলে ধরার চেষ্টা করব ।
এবং আমার ধারনা আপনাদের মনে রুট বিষয়টি নিয়ে আর
কোন সন্দেহ মুলক ধারনা থাকবে না ।
► রুট ব্যাপারটা আসলে কী?
╚» রুট শব্দটি এসেছে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম
থেকে । লিনাক্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাদের রুট
প্রিভিলেজ বা সুপারইউজার পারমিশন আছে তাদেরকে
রুট ইউজার বলা হয় । সবচেয়ে সহজ শব্দে বলা যায় , রুট
হচ্ছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বা প্রশাসক যদিও এর বাংলা
অর্থ গাছের শিকড় । রুট হচ্ছে একটি পারমিশন বা অনুমতি
। এই অনুমতি থাকলে ব্যবহারকারী তার নিজের
ডিভাইসে যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন । উইন্ডোজ
অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারী অ্যাডমিনিস্ট্রেটর
প্রিভিলেজ ছাড়া সিস্টেম ফাইলগুলো নিয়ে কাজ
করতে পারেননা , লিনাক্সেও তেমনি রুট পারমিশন
প্রাপ্ত ইউজার ছাড়া সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের
কাজগুলো করা সম্ভব হয়ে উঠে না । যার লিনাক্স-
চালিত কম্পিউটার বা সার্ভারে সব কিছু করার অনুমতি
রয়েছে, তাকেই আমরা রুট ইউজার বলে থাকি । অনেক
সময় একে আমরা সুপার ইউজার বলেও সম্বোধন করা হয়ে
থাকে ।
► অ্যান্ড্রয়েড এবং লিনাক্স এর মধ্যে সামঞ্জস্য
কোথায় ?
╚» আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে কেন আমি
আন্ড্রয়েড নিয়ে কথা বলতে বলতে লিনাক্স এর কথা
তুলে নিয়ে আসলাম । আসলে এন্ড্রয়েড তৈরি হয়েছে
লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম মুল ভিত্তি
থেকে ।
► লিনাক্স এ ইউজার পারমিশন আমরা খুব সহজে পেয়ে
থাকি কিন্তু আমরা এন্ড্রয়েডে পারি না কেন?
╚» সাধারনত লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম আমরা
ইন্সটল করতে পারি তার তাই আমরা ইউজার পারমিশন
কোড আমরা জেনে থাকি । কিন্তু আন্দ্রয়েড মোবাইল
আমরা বাজার থেকে ক্রয় করে থাকি এবং তার
অপারেটিং সিস্টেম সিস্টেম ইন্সটল ডিভাইস
প্রস্তুতকারক করে থাকে । ডিভাইস প্রস্তুতকারক যখন
মোবাইলের মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করে তখন
তাদের হাতে এই ইউজার পারমিশন কোড থেকে যায় ।
আর তাই আমাদের হাতে সেই ইউজার পারমিশন থাকে
না । এখন আপনার প্রশ্ন আসতে পারে কেন আমাদেরকে
এই ইউজার পারমিশন কোড দেওয়া হয় না । আসলে
ডিভাইস প্রস্তুতকারক মোবাইলের সুরক্ষা এবং
নিরপ্ততার জন্য আমাদেরকে এই কোড দিয়ে থাকে না ।
কিন্তু তাই বলে এই নয় যে আমরা ইউজার পারমিশন কোড
পাব না । আমরা ডিভাইস প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে
আমরা এই কোড সংগ্রহ করে এন্ডয়েড মোবাইলের ইউজার
পারমিশন পেতে পারি । উদাহরণ হিসেবে আমি বলতে
চাই সনি , Lenovo এর মত ব্রান্ড এর মোবাইল যখন ব্যবহার
করি তখন আমরা তার ইউজার পারমিশন পাওয়ার জন্য
তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে বুটলডার আনলক কোড সংগ্রহ
করে থাকি । এই বুটলডার আনলক রুট পারমিশন পাওয়ার
একটি অংশ ।
► আন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এক হওয়া সত্ত্বেও
ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল ভিন্ন রকম এর কারন কি ?
╚» আপনাদের মনে হয়ত প্রশ্ন জাগতে পারে যে যতগুলো
মোবাইল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের সবার
ভিন্ন ভিন্ন লুক এর অপারেটিং হয়ে থাকে ।
অপারেটিং সিস্টেমের মূল ভিত্তিটা এক হলেও একেক
কোম্পানি একেকভাবে একে সাজাতে বা কাস্টোমাইজ
করতে পারেন । এই জন্যই সনির একটি অ্যান্ড্রয়েড
ডিভাইসের ইউজার ইন্টারফেসের সঙ্গে এইচটিসির
একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ইন্টারফেসের মধ্যে খুব
কমই মিল পাওয়া যায়।
► আন্ড্রয়েড মোবাইলে কেন রুট করা থাকে না ?
╚» মোবাইল প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠান যখন তাদের
মোবাইল গুলো বাজারজাত করে তখন মোবাইল গুলোতে
রুট পারমিশন দেওয়া হয় না । কারন হল রুট পারমিট করা
থাকলে আপনি তখন আপনার মোবাইলে যে কোন কিছু
করতে পারবেন । আপনি মোবাইলের রুট ফোল্ডাররে
যেতে পারবেন ( মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম
ফোল্ডার ) । আপনি যে কোন ফাইল ডিলিট , এডিট করতে
পারবেন । আপনার মোবাইলে যখন রুট পারমিট করা
থাকবে তখন আপনি কোন ফাইল ডিলিট বা সরিয়ে নিলে
আপনাকে কোন ওয়ার্নিং দিবে না । আপনি হয়ত মনে
করছেন এই ফাইল গুলো আপনার কোন প্রয়োজনে আসবে
না আর তাই আপনি ফাইল গুলো ডিলিট করে দিয়েছেন ।
হয়তো আপনি কাস্টমাইজ করতে গিয়ে বা রম ইন্সটল
করতে গিয়ে ভুল করে ফোন ব্রিক করে ফেলেছেন । এতে
কিছুক্ষণ পর দেখতে পারলেন যে আপনার মোবাইল আর
চালু হচ্ছে না । আপনি তখন আপনার মোবাইল প্রস্তুত
কারকে দোষারোপ করতে থাকবেন । যদি রুট না থাকতো
তাহলে আপনি ফাইল গুলো ডিলিট এডিট তো দুরের কথা
আপনি আই ফোল্ডারটি খুজে পেতেন না । ফোন
প্রস্তুতকারক আপনাকে অনেক সুযোগ সুবিধা দিলেও এই
সব পারমিশন তারা তাদের সুবিধার্থে দেয় না । এটা
করা হয় আপনার ভালোর জন্যই ।
► কেন আপনি আপনার আন্ড্রয়েড ডিভাইসটি রুট করবেন?
╚» আপনি তখনি রুট করার চিন্তা করবেন যখন আপনার
মোবাইলে সব ধরনের সুযোগ ব্যবহার করতে পারছেন না ,
আপনার মোবাইল আপনাকে কোন সীমার মধ্যে বেধে
রেখেছে । যারা একদমই নতুন এই বিষয় ভালভাবে কিছু
জানেন না তারা তাদের মোবাইল রুট করার চিন্তা
কিছুদিন পর করার সিদ্ধান্ত নিবেন । তার কারন আপনি
আগে ভাল করে বুঝে নিন কেন আপনি রুট করবেন , এবং
রুট করার পর আসলেই আপনার উপকার হবে কি না ।
অনেকে না বুঝে রুট করে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে ।
তাই আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি সাবধানতার মাধ্যমে
আপনি আপনার মোবাইল রুট করুন ।
আমরা আসলে অনেক কারনে আন্ড্রয়েড মোবাইল রুট করে
থাকি । বর্তমানে কিছু কিছু অ্যাপ্লিকেশান এখন বের
হয়েছে যা ব্যবহার করতে রুট পারমিটের প্রয়োজন হয়ে
পড়ে । কেউ কেউ ওভারক্লকিং করার মাধ্যমে
মোবাইলের স্পীড বাড়ানোর জন্য রুট করে থাকেন । কেউ
ডেভেলপারদের তৈরি ভিন্ন ভিন্ন সাধের কাস্টম রম
ব্যবহার করার জন্য , কেউ গেম খেলার জন্য । আরও অনেক
কারন আছে যেই কারনে রুট করা হয়ে থাকে । এই কারন
গুলো থেকে থাকলে রুট করা আমি মনে করি ভাল । কিন্তু
অকারন অবশত রুট করে বিপদে পড়ার কোন প্রয়োজন আছে
বলে আমি মনে করছি না ।
রুট করার কিছু সুবিধা
╚» বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে মোবাইলের
অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত
মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা । এছাড়াও মোবাইলের
পারফরমেন্স বাড়ানো যায় বলে আর অনেক ভাবে ।
ওভারক্লকিং করা সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায়
যতটা থাকে তারচেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করে । এর
মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি
বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায় । যখন মোবাইল
এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না
করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা যায়
আন্ডারক্লকিং করে । এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ
বাড়ানো সম্ভব । এছাড়াও রুট করে কাস্টম রম ইন্সটল
করার সুবিধা রয়েছে । অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন
জনপ্রিয় মোবাইলের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন
। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার মোবাইলকে সম্পূর্ণ
নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন । আপনি সফটওয়্যার
ব্যবহার করে আপনার রাম এর স্পীড বাড়াতে পারবেন ,
প্রসেসরের স্পীড বাড়াতে পারবেন তবে কোন
হার্ডওয়্যার বা অন্যান্য কোন কিছু বাড়াতে পারবেন
না । আপনি ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাকে ১৬
মেগাপিক্সেল করতে পারবেন না । যেই মোবাইলে NFC
নেই তাতে তা সংযোগ করতে পারবেন না । রুট শুধু মাত্র
আপনার অভ্যন্তরীণ পারফরম্যান্সে কাজে আসবে ,
বাহ্যিক কোন পরিবর্তন নয় ।
রুট করার কিছু অসুবিধা
╚» সর্ব প্রথম মোবাইল রুট করার মাধ্যমে আপনার
ওয়ারেন্টি বাতিল হয়ে যাবে । তাই রুট করার আগে
সাবধান । অবশ্য অনেক মোবাইল আবার আনরুট করা যায় ।
আর মোবাইল আনরুট করা হলে তা সার্ভিস সেন্টারে
থাকা টেকনিশিয়ানরা অনেক সময়ই ধরতে পারেন না যে
সেটটি রুট করা হয়েছিল কি না । তবে কাস্টম রম থাকলে
ধরা খাওয়া বাধ্যতামূলক । অনেকে মোবাইল ব্রিক নিয়ে
অনেক কথাই বলেছে। এখন কথা হল ব্রিক মানে কি ?
ব্রিক অর্থ ইট । আর ফোন ব্রিক মানে আপনার
ডিভাইসকে ইটে রূপান্তরিত করা বা নষ্ট হয়ে যাওয়া ।
অর্থাৎ আপনার মোবাইল কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে
ফেলেছে । রুট করা ও এর পরবর্তী বিভিন্ন কাজের সময়
যদি কোন ভুল ত্রুটি হয় তাহলে ফোনে স্থায়ী বা
অস্থায়ী সমস্যা হতে পারে । প্রস্তুতকারক কোম্পানি
ফোনটি আনরুট অবস্থায় দেন যাতে আপনার মোবাইলের
কোন ক্ষতি না হয় । রুট করার মাধ্যমে আপনি সেই
নিশ্চয়তা ভেঙ্গে ফেলছেন । এখন এর সম্পূর্ণ দায়ভার
আপনাকে গ্রহন করতে হবে । রুট করলে দেখা যায় অনেক
সময় অনেক ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম রুট করা ডিভাইসের
নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে । কিন্তু লক থাকা অবস্থায়
ব্যবহারকারী নিজেই রুট অ্যাক্সেস পান না , তাই অন্য
প্রোগ্রামগুলোর রুট অ্যাক্সেস পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই
বললেই চলে ।
(সংগৃহীত)
পরিশেষে, রুট করবেন নিজ দায়িত্তে, রিস্ক না নিতে
চাইলে ভুলেও হাত দিবেন না। কষ্ট করে পড়ার জন্য
ধন্যবাদ। সাথে থাকবেন।

Hi,My Name Is Md Motalib Hossain. I am Admin of this blog.I love blogging and I like to share things which I know.
Follow Me On Twitter Or Facebook

0 Reviews:

Post Your Review